স্বদেশ ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বাংলাদেশে ২৫ বা ২৬ মে আঘাত হানতে পারে। তাই সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোকে আপাতত ১ নম্বর দূরবর্তী বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উপকূলবর্তী সকল উপজেলার ইউএনও, এসিল্যান্ড, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), পিআইও এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনায় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরিষ্কার ও জরাজীর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রগুলো
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বিদ্যুৎ সংযোগ ও অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো প্রস্তুত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে ৫০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৫ জন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন ও তদারকি করছেন। যে কোনো সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি ও আশ্রয়কেন্দ্রে আনয়ন, সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এনজিওকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পর্যাপ্ত ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে পর্যাপ্ত মেডিক্যালল টিম। গো-খাদ্য কেনার জন্যে প্রতিটি উপজেলায় ১ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণাসহ মাইকিং করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় সর্ব্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। উপকুলবর্তী এলাকার মানুষকে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস